‘বেক্সিমকো ইসলামিক আইকন সিজন-২’-এর ঢাকা বিভাগীয় অডিশনে বায়তুল মোকাররম হলরুমে বসেছিল মেধাবীদের মিলনমেলা। এতে অংশ নিয়েছেন আলেমেদ্বীন ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ট্যালেন্টগণ।
প্রতিযোগীদের মেধার বিচারকার্য পরিচালনায় ছিলেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা আলেমেদ্বীন ও ইসলামিক স্কলারগণ।
বেক্সিমকো ইসলামিক আইকনের চেয়ারম্যান খালিদ সাইফুল্লাহ বকসী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার অধ্যক্ষ সাইয়েদ কামাল উদ্দিন আবদুল্লাহ জাফরী বলেন, ‘জ্ঞানযুদ্ধের লড়াইয়ে তোমরা যারা নেমেছো, নিজেদের এমনভাবে তৈরি হতে হবে যেন তোমাদের সৌরভে মুগ্ধ হয় বাংলাদেশ।’
অডিশনের সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, ড. শামসুল আলম, ড. আহসানুল হাদী, ড. রফিকুল ইসলাম, ইসলামিক ফান্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. ওয়ালিউর রহমান খান, শাইখ খলিলুর রহমান মাদানী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের শরীয়াহ সুপারভাইজারি বোর্ডের সদস্য এ কিউ এম সফিউল্লাহ আরিফ।
অন্যান্যদের মধ্যে মাওলানা আব্দুল হাকিম, মাওলানা মোহসিন মাশকুর, মাওলানা কামাল উদ্দিনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ও সভাপতি খালিদ সাইফুল্লাহ বকসী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে ঝাঁকে ঝাঁকে সৎ-মেধাবী ও উত্তম আদর্শসম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন। তোমরাই সে সকল মানুষ।’
ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে অংশ নেয়া হাজার হাজার প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ৬০ জন মেধাবীকে নেয়া হবে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণের জন্য। প্রশিক্ষণশেষে সেরা ৪৮ জন মেধাবী প্রতিযোগী টিভি রাউন্ডে সুযোগ পাবে। কুরআন-সুন্নাহ ও বাংলাদেশ সংক্রান্ত জ্ঞানে পারদর্শিতা প্রদর্শনের এই মহাযুদ্ধ শেষে নির্বাচিত হবেন সেরা ৩ জন ইসলামিক আইকন।
১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ স্থান অর্জনকারী পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ, মালয়েশিয়া ভ্রমণ, নগদ অর্থসহ পাবেন মোট ২৬ লক্ষ টাকা। এছাড়াও সেরা ১০ জন ও অংশগ্রহণকারী ৪৮ জনের জন্য বিশেষ পুরস্কারসহ থাকছে সর্বমোট ৩০ লাখ টাকার পুরস্কার।
আয়োজকদের ধারণা, এবারের রমযানে টিভি পর্দায় ইসলামপ্রিয় মানুষের সেরা আয়োজন হবে ‘বেক্সিমকো ইসলামিক আইকন’। তারা বলেন, এটি নিছক কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয় বরং সুস্থ বিনোদনময় পরিবেশে ইসলামকে জানার এক অনিন্দ্য সুন্দর আয়োজন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি